
ইমরান খাঁন :
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া কাঁঠালতলা মোল্লা বাজার দি,রোজ গার্মন্সের ঝুট নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে।
অদ্য ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে জামগড়া দিরোজ গার্মেন্টস এর ঝুটের গাড়ি বের হওয়ার আগে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপ সহ কিশোর গ্যাং সদস্যের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র এবং পিস্তলসহ মহড়া পরিচালনা করে। রাস্তায় সাধারন পথচারীদের মারধর করা এবং স্থানীয় দোকানপাট ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া যায়।অস্ত্র হাতে নিয়ে মহড়া দেয় দুই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাওয়া মাত্রই ১০ মিনিটের মধ্যেই জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের টহল দল ঘটনাস্থলে চলে আসে, এবং ঐ মুহূর্তে ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে হাতেনাতে আটক করে।
পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিরপরাধ শ্রমিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় পর ৯ জন নিরপরাধ শ্রমিকদের ছেড়ে দেয়া হয়। অবশিষ্ট আটককৃত কিশোর গ্যাংদের স্বীকারোক্তি মূলক তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সন্ত্রাসী দলের মূলহোতা হিসেবে জনৈক মুকুল ভূইয়া,ও রনি ভূইয়ার নাম পাওয়া যায়। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের উপস্থিতেতে মূল হোতাদের এবং কিছু কিশোর গ্যাং লিডারদের বাড়িতে তল্লাশি কার্যক্রম চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র এবং মাদক পাওয়া যায়। হাতেনাতে গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী এবং কিশোর গ্যাং সংখ্যা মোট ১১ জন।
দীর্ঘ ১ বছর যাবৎ ঝুট সংক্রান্ত বিভিন্ন গোলাগুলি এবং সহিংস কার্যক্রমের ফলে জনগনের মনে শঙ্কা ও ভীতি সঞ্চার হয়েছিলো।জামগড়া, আশুলিয়া এলাকায় ঝুট ব্যবসা নিয়ে আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য কয়েকবার অস্ত্রের মহড়া ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সহ ঝুটের গাড়ি ছিনতাইও হয়েছিল। যে কারণে গার্মেন্টস থেকে ঝুট বের করে মালিকপক্ষ ঝুট বিক্রি করতে পারছিলোনা। গত সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ২০২৪ এবং ফেব্রুয়ারি ও আগস্ট ২০২৫ মাসে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় এবং এতে রাস্তার সাধারন পথচারী এবং এলাকার সাধারন জনগন আহত হয়। আজকের ঝুটকেন্দ্রিক প্রথম সেনা অভিযানে এবং অপরাধপ্রবণ এলাকায় জামগড়া আর্মি ক্যাম্প দিনব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান চালানোয় জনগণের মনে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে ।
উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্র, মাদকদ্রব্য এবং আটককৃত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।