
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় ইয়ারপুর ইউনিয়নের সোনামিয়া মার্কেটে যুবদলের কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইয়ারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান মো. মঈনউদ্দিন বিপ্লব।
তিনি বলেন, “১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলা রাখাল রাজাখ্যাত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজ হাতে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে এই দলের নেতাকর্মীরা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের সংকটকালে, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও মহামারীতে তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আজকের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বারবার স্মরণ করছি।
তিনি আরও বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অল্প কিছুদিন দেশ সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি যদি দীর্ঘ সময় পেতেন, তাহলে এদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করতেন। তার সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়াও তিনবার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যায়। আগামী নির্বাচনে দল ক্ষমতায় এলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
এ সময় বক্তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আপেল মাহমুদ হান্নান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আশুলিয়া থানা বিএনপির সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান নবী দেওয়ান, ইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. দেলোয়ার হোসেন সরকার, সাংগঠনিক মো. মনির হোসেন মোল্লা, সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন মোল্লা, আশুলিয়া থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সরকার মো. কিসমত আলী, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান রনি, মো. জাহিদ হাসান বিশ্বাস, ইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া, আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের মো. হুমায়ুন কবির, রিপন শিকদার, ইয়ারপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. বাবু ভূঁইয়া, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. দুলাল মীর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকার মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের অন্ধকার কারাগারে আটকে রেখেছিল। গোটা দেশটাকে একটি কারাগারে পরিণত করেছিল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে আমাদের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করে একটি নতুন বাংলাদেশ এনেছে। আজকে দেশ পুনরায় স্বাধীন হয়েছে, আমরা হয়েছি মুক্ত।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে ঢাকা ১৯ আসন ফিরিয়ে আনতে সকল নেতাকর্মীকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং তারেক জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
তারা বলেন, “আমরা জেলখানায় নিদারুণ কষ্ট করেছি, মানবেতর জীবন যাপন করেছি। রাজনৈতিক সহকর্মীরা দীর্ঘ ১৬ বছর তাদের বাড়িতে থাকতে পারেননি। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন, আক্রমণের শিকার হয়ে কেউ কেউ মারা গেছেন। সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও মনের কষ্ট ভুলে দলকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, “গুপ্ত বাহিনী সারাদেশে ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি করছে। তারা তারেক রহমানসহ বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তারাই অদৃশ্য শক্তিকে নিয়ে ফায়দা লুটতে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের এসব অপকর্ম রুখে দেওয়া হবে এবং জনগণকে বোকা বানিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা যাবে না।
অনুষ্ঠানে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া, মোনাজাত ও তবারক বিতরণ করা হয়।